মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় দেশ মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়া একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ যেখানে শ্রমিকরা ভালো আয় করতে পারে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় বসবাস করে এবং প্রতিনিয়ত আরও অনেকে নতুন করে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে। ভিসার খরচ, কাজের সুযোগ, এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে হলে, মালয়েশিয়া ভিসার দাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে, মালয়েশিয়ায় ভিসার খরচ, ভ্রমণ খরচ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া ভিসার ধরন

মালয়েশিয়া সরকার বিভিন্ন ধরনের ভিসা অফার করে। প্রতিটি ভিসার ক্যাটাগরি এবং মেয়াদ অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ধরনের ভিসা চালু রয়েছে যেমন:

  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • টুরিস্ট ভিসা
  • কৃষি ভিসা
  • ফ্যাক্টরি ভিসা
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • কোম্পানি ভিসা
  • এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
  • এন্ট্রি ভিসা
  • মেডিকেল ভিসা
  • বিজনেস ভিসা
  • কলিং ভিসা

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচের বিভিন্ন দিক আছে। এটি নির্ভর করে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করছেন এবং কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তার উপর। সাধারণত, মালয়েশিয়ায় যেতে চাইলে মোট খরচ পড়তে পারে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য খরচের পার্থক্য হতে পারে।

মালয়েশিয়ায় ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা ইত্যাদি। ভিসার খরচ ভিসার ধরণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

  1. টুরিস্ট ভিসা: যদি আপনি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে চান, তাহলে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। টুরিস্ট ভিসার খরচ সাধারণত ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়।
  2. স্টুডেন্ট ভিসা: পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়ায় যেতে চাইলে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার খরচ সাধারণত ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে।
  3. ওয়ার্ক ভিসা: কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে চাইলে ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক ভিসার খরচ সাধারণত ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে।

প্রতিটি ভিসার খরচ বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নলিখিত একটি তালিকায় মালয়েশিয়া ভিসার আনুমানিক খরচ দেয়া হলো:

ক্রমিক নম্বরভিসা ক্যাটাগরিমোট ভিসা খরচ (টাকায়)
স্টুডেন্ট ভিসা২,০০,০০০ – ৩,০০,০০০ টাকা
টুরিস্ট ভিসা১,০০,০০০ – ২,৫০,০০০ টাকা
ওয়ার্ক পারমিট (কাজের) ভিসা২,০০,০০০ – ৫,০০,০০০ টাকা
বিজনেস ভিসা৪,০০,০০০ – ৫,০০,০০০ টাকা
মেডিকেল ভিসা১,০০,০০০ – ২,০০,০০০ টাকা

ভিসা পাওয়ার পদ্ধতি

ভিসার খরচ নির্ভর করে আপনি কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করছেন তার উপরও। সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করলে খরচ কম হয়। সরকারি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় যেতে চাইলে খরচ পড়বে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করলে খরচ কিছুটা বেশি হয়। এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার খরচ ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো

মালয়েশিয়া বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। এর মধ্যে কোম্পানি ভিসা এবং কলিং ভিসা সবচেয়ে ভালো অপশন হিসেবে বিবেচিত হয়।

কোম্পানি ভিসার সুবিধা:

  1. সব ধরনের খরচ বহন: কোম্পানি মালিক আপনার ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া গিয়ে থাকা-খাওয়া এবং আবার বাড়িতে আসার বিমান টিকেট পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
  2. কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা: কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে সাধারণত কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা থাকে, যা অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে নেই।
  3. কাজের নিরাপত্তা: কোম্পানি ভিসায় কাজের নিরাপত্তা বেশি থাকে, কারণ আপনি কোম্পানির নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে কাজ করবেন।

কলিং ভিসার সুবিধা:

  1. বেশি স্বাধীনতা: কলিং ভিসায় আপনি নিজের পছন্দমতো কাজ করতে পারেন।
  2. উচ্চ আয়: কলিং ভিসায় কর্মের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে উচ্চ আয় করা সম্ভব।
  3. নতুন অভিজ্ঞতা: এই ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ পাওয়া যায়, যা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক।

সতর্কতা এবং পরামর্শ

মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন:

  1. বিশ্বাসযোগ্য এজেন্সি নির্বাচন: এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করলে এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে হবে।
  2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত: ভিসা আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে।
  3. বিদেশে কাজের নিয়মাবলী: মালয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে জানা জরুরি।

শেষ কথা

মালয়েশিয়া যেতে চাইলে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিসার খরচ, কাজের বাজার, এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাওয়া প্রয়োজন। অবৈধ পথ এড়িয়ে সরকারিভাবে বা অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে যাতে আপনি নিরাপদে এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top