বর্তমানে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু রয়েছে এবং প্রতি বছর সরকারিভাবে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। কানাডার অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক উন্নত, যার কারণে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে কানাডা চলে যাচ্ছেন।কানাডা বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করছে যা বৈশ্বিক শ্রমিকদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। কানাডার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। এই কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছেন। কানাডায় কাজ করলে প্রতি মাসে উল্লেখযোগ্য আয় করা সম্ভব যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। যদিও অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় যেতে খরচ একটু বেশি।
কেন কানাডা একটি জনপ্রিয় কর্মস্থল?
কানাডা তার উন্নত অর্থনীতির কারণে বৈশ্বিক শ্রমিকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। কানাডায় বিভিন্ন খাতে কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং জীবনমান অত্যন্ত উন্নত। কাজের নিরাপত্তা, উচ্চ বেতন, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং শিক্ষার সুযোগের কারণে কানাডা কর্মজীবী মানুষের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত
কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন। বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রচুর সুযোগ থাকায় অনেকেই এই ভিসার মাধ্যমে কানাডায় যেতে আগ্রহী। রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং, এবং বিভিন্ন পেশাদারী কাজ পর্যন্ত, সকল প্রকার কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বৈধভাবে কানাডায় কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অপরিহার্য।অন্যান্য ভিসার তুলনায় কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে কোম্পানির ড্রাইভিং এর কাজ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। বৈধভাবে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।সরকারি ভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে গেলে সবচেয়ে কম খরচ হবে। সরকারিভাবে ভিসা করলে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যেই কানাডা যেতে পারবেন। অন্যদিকে, কোন এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে গেলে খরচ হবে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
আপনি কানাডা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। আপনি যে কাজে যেতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে এখন কয়েকটি ধরনের কানাডার ভিসা পাওয়া যায়, ভিসা অনুযায়ী খরচ কম বেশি হতে পারে। কানাডার ভিসার খরচ নির্ভর করে ভিসার প্রকারভেদ এবং আবেদন পদ্ধতির উপর। সরকারি উপায়ে কানাডায় যেতে চাইলে প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। এজেন্সির মাধ্যমে স্টুডেন্ট বা ভিজিট ভিসার জন্য প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। ওয়ার্ক পারমিট বা অন্যান্য বিশেষ ভিসার ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, যা ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এজেন্সি বা সময়ের উপর ভিত্তি করে খরচ কম বেশি হতে পারে।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিংয়ের সময়
নির্দিষ্টভাবে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে তা বলা যায় না। বিভিন্ন কারণে ভিসা প্রসেসিং হতে দেরি হতে পারে। অনেক সময় টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য নেটের সমস্যা হলে ভিসা প্রসেসিং হতে দেরি হয়ে যায়। এজেন্সিতে যদি কাজের চাপ বেশি থাকে তাহলে ভিসা প্রসেসিং হতে সময় লাগে। সাধারণত, সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০ দিন অপেক্ষা করলে কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং কাজ সম্পূর্ণ হবে।
শেষ কথা
বর্তমানে অনেকেই কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডায় চলে যাচ্ছেন। কারণ বাংলাদেশ থেকে কানাডায় গিয়ে প্রতি মাসে বেশি টাকা বেতন উত্তোলন করা যায়। সবাই কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার আগে খরচ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত খরচ জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।