সরকারি বেতন স্কেল ২০২৪

সরকারি বেতন স্কেল

বর্তমান সময়ে সরকারি চাকরির সাথে সাথে বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষিত বেকারত্বের হার ক্রমবর্ধমান, যার ফলে প্রতিটি পদে আবেদনকারীদের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি চাকরি এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। কারণ, প্রতিটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রতিযোগীদের সংখ্যা হাজারেরও বেশি থাকে, যা একদিকে যেমন কঠিন, অন্যদিকে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে চাপও বাড়ায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরির গুরুত্ব এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

সরকারি বেতন স্কেল

বাংলাদেশে সরকারি চাকরির গ্রেডিং পদ্ধতি শুরু হয় ১৯৭৩ সালে যখন মাত্র ১০টি গ্রেড প্রচলিত ছিল। সময়ের সাথে সাথে এর পরিমাণ বেড়ে ১৯৭৯ সালে এসে পৌঁছে ২০ টি পর্যন্ত। এই পরিবর্তন ছিল ব্যবস্থাপত্রে আরও নিখুঁত ও কার্যকরী করার এক প্রয়াস। ‘গ্রেড’ বা ‘শ্রেণি’ হচ্ছে সেই ধাপ যা দিয়ে কোনো চাকরিজীবীর পদমর্যাদা, বেতন স্কেল, দায়িত্ব, ক্ষমতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি নির্ধারিত হয়। একজন চাকরিপ্রার্থী যদি সরকারি চাকরির দিকে ঝুঁকতে চান, তাদের জন্য এই গ্রেড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, এটি তাদের চাকরির ধরন, পদের মর্যাদা, বেতনের পরিসর এবং প্রমোশনের সুযোগসহ নানাবিধ বিষয় নির্ধারণ করে। তাছাড়া, গ্রেড অনুযায়ী প্রস্তুতি না নিলে অনেক সময় অযোগ্য পদের জন্য আবেদন করে ফেলা হতে পারে, যা কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রচলিত রয়েছে। যেখানে গ্রেড ১ হচ্ছে সর্বোচ্চ পদ এবং গ্রেড ২০ হল প্রাথমিক স্তর। প্রত্যেক গ্রেডের মধ্যে বেতনের পার্থক্য রয়েছে যা চাকরিজীবীর দায়িত্ব, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। সঠিক গ্রেড নির্বাচন করা এবং সেই অনুযায়ী পদোন্নতি লাভ করা যে কোনো চাকরিজীবীর জন্য অপরিহার্য। এর আগে, সরকারি চাকরিজীবীরা চারটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত ছিলেন: ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি। তবে, ২০১৫ সালের আদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক চাকরিজীবীকে তার নির্দিষ্ট বেতন স্কেলের গ্রেড অনুযায়ী পরিচিত করা হচ্ছে। এই নতুন গ্রেড পদ্ধতি যদিও ৪টি মূল শ্রেণীর মধ্যেই গুচ্ছিত, তবুও এটি বেতন ও দায়িত্বের বিভিন্ন স্তর অধিক সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করে।

কর্মকর্তা/কর্মচারী শ্রেণিযে গ্রেড হতে যে গ্রেড পর্যন্ত
১ম শ্রেণিগ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৯
২য় শ্রেণিগ্রেড-১০
৩য় শ্রেণিগ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-১৬
৪র্থ শ্রেণিগ্রেড-১৭ থেকে গ্রেড-২০

সরকারি চাকরির বেতন কাঠামোটি ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী সাজানো হয়েছিল। ২০১৫ সালের পূর্বে সরকারি চাকরিজীবীরা মোট ৪টি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল, যা ১ম, ২য়, ৩য়, এবং ৪র্থ শ্রেণি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে, ২০১৫ সালে নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে বর্তমানে ২০টি গ্রেডে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যেক গ্রেডের চাকরিজীবী তাদের বেতন অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেন। এই বেতন গ্রেডগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত ধাপ, যা একজন চাকরিজীবীর বেতন, অবস্থান, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং অন্যান্য সুবিধার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।

এই শ্রেণী ও গ্রেড পদ্ধতি কর্মচারীদের কাজের গুরুত্ব ও জটিলতা অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করে। এটি প্রতিটি পদের জন্য সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কর্মচারীদের বিন্যাস করে থাকে, যা সার্বিকভাবে সরকারি দপ্তরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।এই বিন্যাস সরকারি চাকরির মান ও দায়িত্ববোধের উন্নতি সাধনে সহায়ক হয়ে থাকে এবং কর্মচারীদের পেশাগত উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।

সরকারি বেতন স্কেল -২০১৫

২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ গেজেটে ‘চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫’ নামে একটি অতিরিক্ত সংখ্যা প্রকাশিত হয়, যা এখনো ২০২২ সালে কার্যকর রয়েছে। এই আদেশ বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্কেল সংস্কার করেছে, যা পূর্বের ২০০৯ সালের জাতীয় বেতন স্কেলকে প্রতিস্থাপন করেছে। এই নতুন বেতন স্কেলের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের মোট ২০টি গ্রেডে বিন্যাস করা হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি চাকরির বেতন কাঠামো বা পে স্কেল ২০১৫ ব্যাপকভাবে চাকরি প্রার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত চাকরির বেতন ও ভাতাদি সম্পর্কে জানা চাকরিজীবীর ক্যারিয়ার পছন্দে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিম্নে পে স্কেল ২০১৫ অনুসারে বিভিন্ন গ্রেডের মূল বেতন ও তাদের সর্বোচ্চ সীমা পর্যালোচনা করা হল:

মোট ২০টি গ্রেডমূল বেতনের পরিমান ও সর্বোচ্চ সীমা
গ্রেড-১৭৮০০০ (নির্ধারিত)
গ্রেড-২৬৬০০০ – ৭৬৪৯০ টাকা
গ্রেড-৩৫৬৫০০ – ৭৪৪০০ টাকা
গ্রেড-৪৫০০০০ – ৭১২০০ টাকা
গ্রেড-৫৪৩০০০ – ৬৯৮৫০ টাকা
গ্রেড-৬৩৫৫০০ – ৬৭০১০ টাকা
গ্রেড-৭২৯০০০ – ৬৩৪১০ টাকা
গ্রেড-৮২৩০০০ – ৫৫৪৭০ টাকা
গ্রেড-৯২২০০০ – ৫৩০৬০ টাকা
গ্রেড-১০১৬০০০ – ৩৮৬৪০ টাকা
গ্রেড-১১১২৫০০ – ৩০২৩০ টাকা
গ্রেড-১২১১৩০০ – ২৭৩০০ টাকা
গ্রেড-১৩১১০০০ – ২৬৫৯০ টাকা
গ্রেড-১৪১০২০০ – ২৪৬৮০ টাকা
গ্রেড-১৫৯৭০০ – ২৩৪৯০ টাকা
গ্রেড-১৬৯৩০০ – ২২৪৯০ টাকা
গ্রেড-১৭৯০০০ – ২১৮০০ টাকা
গ্রেড-১৮৮৮০০ – ২১৩১০ টাকা
গ্রেড-১৯৮৫০০ – ২০৫৭০ টাকা
গ্রেড-২০৮২৫০ – ২০১০০ টাকা

এই বেতন কাঠামোর মাধ্যমে চাকরিজীবীরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নতি সাধনের পাশাপাশি অধিক সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার উপলব্ধি পান। একটি সুষ্ঠু ও ন্যায্য বেতন কাঠামো চাকরিজীবীদের মোটিভেশন বৃদ্ধি করে এবং তাদের কর্ম নিষ্ঠা বাড়ায়। এটি সরকারি কর্মক্ষেত্রে সার্বিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির একটি প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।

সরকারি চাকরির বেতন ও ভাতা সুবিধাসমূহ

বাংলাদেশের সরকারি চাকরির আকর্ষণীয় একটি দিক হলো এর বেতন এবং ভাতা সুবিধা। মূল বেতনের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের ভাতাগুলো একজন সরকারি চাকরিজীবীর মোট আয়কে অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। নিম্নে এই ভাতাসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা করা হল:

প্রধান ভাতা সুবিধাসমূহ

  1. . বাড়ি ভাড়া ভাতা: এই ভাতাটি সরকারি চাকরিজীবীদের বাসস্থানের খরচ পূরণের জন্য প্রদান করা হয়। মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ এই ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়, যা সাধারণত মূল বেতনের ৫০% পর্যন্ত হতে পারে।
  2. যাতায়াত ভাতা: বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে গাড়ি সুবিধা এবং যাতায়াত ভাতা একটি প্রধান আকর্ষণ। এই সুবিধাগুলি কর্মকর্তাদের কার্যক্ষমতা বাড়ানো সহ দৈনন্দিন পরিবহন খরচ কমাতে সহায়তা করে।
  3. মেডিক্যাল ভাতা: স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ মেটানোর জন্য মেডিক্যাল ভাতা প্রদান করা হয়। এটি মূলত চিকিৎসা খরচের একটি অংশ হিসেবে কর্মচারীদের প্রদান করা হয়।
  4. কনভেন্স ভাতা: পরিবহন খরচ পূরণের জন্য কনভেন্স ভাতা দেওয়া হয়, যা কর্মস্থলে যাতায়াতের খরচ সহায়তা করে।
  5. ফেস্টিভাল ভাতা: বছরে বিভিন্ন উৎসবে এককালীন ফেস্টিভাল ভাতা প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত মূল বেতনের দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
  6. . ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স (ডিএ): মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোকাবেলায় ডিয়ারনেস অ্যালাউয়েন্স প্রদান করা হয়। এটি মূল বেতনের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে যোগ করা হয়।
  7. ওভারটাইম ভাতা: স্থায়িত্ব ছাড়িয়ে অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা প্রদান করা হয়।

উল্লেখিত ভাতা সুবিধাগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য হলেও, যেমন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ যারা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্ত ভাতা প্রযোজ্য হয় না। এটি তাদের মোট বেতনে একটি বড় পার্থক্য তৈরি করে, যা অনেক সময় তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলে।

এই বিস্তারিত পর্যালোচনা থেকে স্পষ্ট যে, বেতন ও ভাতা সুবিধা সরকারি চাকরির অন্যতম আকর্ষণ। তবে, এই সুবিধাগুলোর সমান বণ্টনের দিক থেকে আরও উন্নতি সাধনের প্রয়োজন রয়েছে যাতে সব চাকরিজীবী সমান সুবিধা পায়।

সরকারি চাকরির বাড়ি ভাড়া ভাতা বিন্যাস

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া ভাতার বিন্যাস

বাড়ি ভাড়া ভাতার হার ও পরিমাণ

  1. মূল বেতন ৯,৭০০ টাকা বা তার কম:
    • ভাতার হার: মূল বেতনের ৬৫%
    • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৫,৬০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৬,৩০৫ টাকা
  2. মূল বেতন ৯,৭০১ টাকা থেকে ১৬,০০০ টাকা:
    • ভাতার হার: মূল বেতনের ৬০%
    • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৬,৪০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৯,৬০০ টাকা
  3. মূল বেতন ১৬,০০১ টাকা থেকে ৩৫,৫০০ টাকা:
    • ভাতার হার: মূল বেতনের ৫৫%
    • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৯,৬০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৯,৫২৫ টাকা
  4. মূল বেতন ৩৫,৫০১ টাকা বা তার বেশি:
    • ভাতার হার: মূল বেতনের ৫০%
    • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ১৯,৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৯,০০০ টাকা

চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং সাভার পৌর এলাকায় বাড়ি ভাড়া ভাতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন বৃহত্তর সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই এলাকাগুলির জন্য ভাতার হার ও পরিমাণ নিম্নরূপ:

বাড়ি ভাড়া ভাতার হার ও পরিমাণ

1. মূল বেতন ৯৭০০ টাকা বা তার কম

  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৫৫%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৫০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫৩৩৫ টাকা।
2. মূল বেতন ৯৭০১ টাকা থেকে ১৬,০০০ টাকা
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৫০%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৫৪০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৮০০০ টাকা।

3. মূল বেতন ১৬,০০১ টাকা থেকে ৩৫,৫০০ টাকা:

  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৪৫%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৮০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৫৯৭৫ টাকা।
4. মূল বেতন ৩৫,৫০১ টাকা বা তার বেশি:
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৪০%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ১৬০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩১২০০ টাকা।

অন্যান্য স্থানের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতার

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা সর্বত্রই একটি মৌলিক সুবিধা, যা তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। অন্যান্য স্থানের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতার হার ও পরিমাণ নির্ধারিত হয় নিম্নরূপ:

বাড়ি ভাড়া ভাতার হার ও পরিমাণ

1. মূল বেতন ৯৭০০ টাকা বা তার কম:
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৫০%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৪৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪৮৫০ টাকা।
2. মূল বেতন ৯৭০১ টাকা থেকে ১৬,০০০ টাকা
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৪৫%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৪৮০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৭২০০ টাকা।
3. মূল বেতন ১৬,০০১ টাকা থেকে ৩৫,৫০০ টাকা
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৪০%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ৭০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৪২০০ টাকা।
4. মূল বেতন ৩৫,৫০১ টাকা বা তার বেশি
  • ভাতার হার: মূল বেতনের ৩৫%
  • ভাতার পরিমাণ: নূন্যতম ১৩৮০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৭৩০০ টাকা।

এই ভাতা কেবল সেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা সরকারি বাসায় বসবাস করেন না। যদি কোনো চাকরিজীবী সরকারি বাসায় বসবাস করেন, তাহলে তিনি এই ভাতার যোগ্য নন।বাড়ি ভাড়া ভাতা সরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সহায়তা করে। এই ভাতা বাংলাদেশের সরকারি চাকরির একটি বড় আকর্ষণ হিসাবে কাজ করে থাকে।

শেষ কথা

সরকারি চাকরির গ্রেড ব্যবস্থা বাংলাদেশে চাকরিজীবীর পেশাগত জীবনে একটি মৌলিক অংশ বহন করে। সঠিক গ্রেডের জ্ঞান আপনাকে না কেবল উপযুক্ত চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়তা করে, বরং আপনার কর্মজীবনে সঠিক দিশা নির্দেশনা প্রদান করে। এই বেতন কাঠামোর মাধ্যমে চাকরিজীবীরা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নতি সাধনের পাশাপাশি অধিক সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার উপলব্ধি পান। একটি সুষ্ঠু ও ন্যায্য বেতন কাঠামো চাকরিজীবীদের মোটিভেশন বৃদ্ধি করে এবং তাদের কর্ম নিষ্ঠা বাড়ায়। এটি সরকারি কর্মক্ষেত্রে সার্বিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির একটি প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে।

3 thoughts on “সরকারি বেতন স্কেল ২০২৪”

  1. মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া মধুপুর সরকার পাড়া হরিফিয়া দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক

    যারা উপরে বসে আছেন তারা নিম্ন গ্রেডে চাকুরীজীবিদের খেয়াল করেন না। দ্রব্য মূল্যের যে দাম তাতে এই সামান্য বেতন দিয়ে সংসার চলে না। তাই?

  2. মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া

    বৈষম্য দূরীকরণে প্রথমত যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, গ্রেড সংখ্যা ২০ এর পরিবর্তে ১০-১২ এর বেশি করা যাবে না। টাইম স্কেল তিনটি প্রদান করতে হবে। উৎসব ভাতা ১০০% প্রদান করতে হবে। অন্যান্য ভাতা সন্তোষজনক হতে হবে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ১০% দিতে হবে। নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top