ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম কত ২০২৪

ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম কত

বিদ্যুৎ ব্যবহার করে রান্নার কাজ সহজতর করার জন্য রাইস কুকার একটি অপরিহার্য উপকরণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বহু কোম্পানি রাইস কুকার উৎপাদন করে থাকে, তবে ওয়ালটন কোম্পানির পণ্যগুলি সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং গুণগত মানে সেরা। রাইস কুকার একটি ব্যবহারিক এবং সুবিধাজনক যন্ত্র যা ধান রান্নার কাজকে সহজ করে। এটি সাধারণত একটি ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস, যার মাধ্যমে বিভিন্ন পরিমাণে চাল রান্না করা যায়। রাইস কুকার সাধারণত তিনটি মূল অংশ নিয়ে গঠিত: একটি পাত্র, একটি গরম করার ইউনিট এবং একটি ঢাকনা। ওয়ালটন রাইস কুকারের মডেল ও দামের বিবরণ নিয়ে আজকের এই পর্যালোচনায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

রাইস কুকারের সহজ ব্যবহার

ওয়ালটন রাইস কুকার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভাত রান্না করা যায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং সাশ্রয়ের মূল্যে এ ধরনের রাইস কুকার বাজারে আনা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। বিভিন্ন আকারের রাইস কুকার, যেমন ১.৫ লিটার থেকে ৫ লিটার পর্যন্ত, ওয়ালটন কোম্পানির মাধ্যমে পাওয়া যায়।

ওয়ালটন রাইস কুকারের মূল্য ও মডেল

ওয়ালটন রাইস কুকারের মূল্য নির্ভর করে এর ধারণ ক্ষমতা, গুণগত মান এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্যের উপর। সর্বনিম্ন ২০০০ টাকায় রাইস কুকার থেকে শুরু করে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে উচ্চ মানের রাইস কুকার পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মডেল এবং তাদের মূল্য তালিকা দেওয়া হল:

WRC-CANDY2.0 মডেল

  • মূল্য: ৪৫৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উন্নত মানের রাইস কুকার, রান্নার দুটি মোড, ২ কেজি ধারণক্ষমতা।

WRC-CANDY3.0 মডেল

  • মূল্য: ৫১৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উচ্চতর মানের রাইস কুকার, উন্নত প্রযুক্তি, ২ কেজি পর্যন্ত ধারণক্ষমতা।

WRC-SGAE18 মডেল

  • মূল্য: ২৬৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: ১.৮ লিটার ক্যাপাসিটি, ডাবল অ্যালুমিনিয়াম কুকিং পট, এক বছরের গ্যারান্টি।

১.৮ লিটার ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম ও মডেল

১.৮ লিটার রাইস কুকারের কয়েকটি মডেলের মূল্য তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:

WRC-CSSE180 মডেল

  • মূল্য: ২৬৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উচ্চ মানের রাইস কুকার, ডাবল অ্যালুমিনিয়াম কুকিং পট।

WRC-PAPE18 মডেল

  • মূল্য: ৩৭৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উন্নত মানের রাইস কুকার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

২.৮ লিটার ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম ও মডেল

২.৮ লিটার রাইস কুকারের ক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মডেলের মূল্য তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:

WRC-SGAH280 মডেল

  • মূল্য: ৩৮৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: ২ কেজি ধারণক্ষমতা, ডাবল অ্যালুমিনিয়াম কুকিং পট, এক বছরের ওয়ারেন্টি।

WRC-SGAE280 মডেল

  • মূল্য: ৩৫৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: ২ কেজি ধারণক্ষমতা, ডাবল অ্যালুমিনিয়াম কুকিং পট, ইলেকট্রিক্যাল শক রেজিস্ট্যান্স।

Walton Rice cooker WRC-PAPE28 – 2.8L

  • মূল্য: ৩৭৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উন্নত মানের প্লাস্টিক বডি, উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা।

৩ লিটার ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম ও মডেল

৩ লিটার রাইস কুকারের কয়েকটি মডেলের মূল্য তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:

WRC-CSSE300 মডেল

  • মূল্য: ৩৫৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: ৩.০ লিটার ক্যাপাসিটি, ডাবল অ্যালুমিনিয়াম ইনার পট।

WRC-CANDY3.0 মডেল

  • মূল্য: ৫১৯০ টাকা
  • বিশেষত্ব: উন্নত মানের রাইস কুকার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, দুটি কুকিং মোড।

ওয়ালটন রাইস কুকারের দাম

ওয়ালটন রাইস কুকারের মডেল এবং তাদের মূল্য তালিকা নিম্নে দেওয়া হল:

মডেল দাম
WRC-SGA280 (2.8L)২৫৫০ টাকা
WRC-SGAE18২৬৯০ টাকা
WRC-SGAM18২৮৯০ টাকা
WRC-CSSE300৩৫৯০ টাকা
WRC-PAPE18৩৭৯০ টাকা
WRC-DCSM28৪২৯০ টাকা
WRC-CANDY2.0৪৫৯০ টাকা
WRC-PAPE28৪৯৯০ টাকা
WRC-CANDY3.0৫১৯০ টাকা

উচ্চ মানের ও কম দামে ওয়ালটন রাইস কুকার

উচ্চ মানের ওয়ালটন রাইস কুকার কিনতে আপনার বাজেট হতে হবে সর্বনিম্ন ৩৫০০ টাকা। ভালো সার্ভিস পেতে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে ৪৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের রাইস কুকার পাওয়া যায়। কম বাজেটের মধ্যে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের ওয়ালটন রাইস কুকার কিনতে পারেন।

রাইস কুকারের সুবিধাসমূহ:

  1. সহজ ব্যবহার: রাইস কুকার চাল রান্নার প্রক্রিয়াকে সহজ করে, শুধুমাত্র চাল এবং পানি যোগ করে বাটন চাপলেই রান্না হয়ে যায়।
  2. স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ: রান্না সম্পন্ন হলে রাইস কুকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরম রাখা মোডে চলে যায়, ফলে চাল গরম এবং সঠিক অবস্থায় থাকে।
  3. বিভিন্ন রান্না করা যায়: শুধুমাত্র চাল নয়, রাইস কুকার দিয়ে স্যুপ, দাল, স্টিমড ভেজিটেবল সহ বিভিন্ন পদ রান্না করা যায়।
  4. সময় বাঁচায়: এটি সময় সাশ্রয় করে, কারণ রান্না প্রক্রিয়ার সময় নিরীক্ষণের প্রয়োজন হয় না।

রাইস কুকার কেনার আগে বিবেচ্য বিষয়

  1. ধারণ ক্ষমতা: প্রথমেই আপনার পরিবারের আকার বিবেচনা করুন এবং সেই অনুযায়ী রাইস কুকারের ধারণ ক্ষমতা নির্বাচন করুন। ছোট পরিবার বা একক ব্যক্তি ছোট মাপের রাইস কুকার ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে বড় পরিবারের জন্য বড় মাপের রাইস কুকার উপযুক্ত।
  2. ফাংশন ও ফিচার: রাইস কুকারের বিভিন্ন ফাংশন এবং ফিচার সম্পর্কে জানুন। কিছু রাইস কুকারে স্বয়ংক্রিয় চাল রান্নার ব্যবস্থা থাকে, আবার কিছু মডেলে স্টিমিং, স্যুপ রান্না, কেক বানানো ইত্যাদি ফিচার থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত ফিচার সহ রাইস কুকার নির্বাচন করুন।
  3. পাওয়ার কনজাম্পশন: রাইস কুকারের বিদ্যুৎ খরচ বিবেচনা করুন। অধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মডেলগুলি দীর্ঘমেয়াদে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে সহায়ক হবে।
  4. উপাদান ও গুণগত মান: রাইস কুকারের নির্মাণ উপাদান এবং গুণগত মান পরীক্ষা করুন। স্টেইনলেস স্টীল বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র এবং গুণগত মানসম্পন্ন প্লাস্টিক বা মেটাল বডি দীর্ঘস্থায়ী এবং নিরাপদ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
  5. ব্র্যান্ড এবং রিভিউ: ভালো মানের ব্র্যান্ডের রাইস কুকার কিনুন এবং অনলাইনে বা বন্ধু-পরিবারের পরামর্শে রিভিউ দেখে নিন। বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের পণ্য দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকরী হয়।
  6. মূল্য: আপনার বাজেট অনুযায়ী রাইস কুকারের মূল্য বিবেচনা করুন। উচ্চ মূল্যের রাইস কুকার সাধারণত বেশি ফিচার এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে সাশ্রয়ী মূল্যের ভালো মানের পণ্যও পাওয়া যায়।
  7. ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর সেবা: রাইস কুকারের সাথে কত বছরের ওয়ারেন্টি দেওয়া হচ্ছে এবং ব্র্যান্ডের বিক্রয়োত্তর সেবার মান কেমন তা বিবেচনা করুন। ভালো ওয়ারেন্টি এবং সেবা পণ্যটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য সহায়ক।

এগুলো বিবেচনা করে আপনি আপনার জন্য উপযুক্ত এবং কার্যকরী রাইস কুকার কিনতে পারবেন।

শেষ কথা

ওয়ালটন রাইস কুকার আপনার প্রতিদিনের রান্নার কাজকে সহজ করে তোলে। আপনার বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন মডেলের ওয়ালটন রাইস কুকার থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। এই পর্যালোচনায় ওয়ালটন রাইস কুকারের মডেল ও দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার ক্রয় সিদ্ধান্তকে সহজ করবে। যদি এই তথ্য উপকারী মনে হয়, তবে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top