সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার উপায়

সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার উপায়

বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব। তবে, সঠিক নিয়ম মেনে সিম রেজিস্ট্রেশন না করলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করে সিম রেজিস্ট্রেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন চালু হয়, যা সিম কার্ড ব্যবহারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য জানা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের সিমের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো বৈধ উপায় নেই। তবে, কোনো একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য প্রয়োজন হবে সংশ্লিষ্ট সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।

সিম রেজিস্ট্রেশন কার নামে জানার উপায়

সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য কোনো ইন্টারনেট সংযোগ বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র ডায়াল কোড ব্যবহার করেই এই তথ্য পাওয়া সম্ভব।

সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাইয়ের পদ্ধতি

বাংলাদেশে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের (গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক) নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন সিমের রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে পারেন বিনামূল্যে।

  1. মোবাইল থেকে ডায়াল করুন: প্রথমে আপনার মোবাইল থেকে *16001# ডায়াল করুন।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রদান করুন: ফিরতি মেসেজে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষ চারটি সংখ্যা দিয়ে পাঠান।
  3. ফিরতি মেসেজে তথ্য প্রাপ্তি: ফিরতি মেসেজে আপনি জানতে পারবেন সেই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা। প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হবে।

কেউ যদি নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করতে চান, তাহলে সরাসরি কোনো পদ্ধতি নেই।

নিবন্ধিত সিম চেক করার সময় প্রাপ্ত তথ্য

  • মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যাঃ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার NID দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তা জানতে পারবেন।
  • অপারেটর ভিত্তিক সিমের সংখ্যাঃ প্রত্যেকটি অপারেটরের জন্য কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে তাও জানতে পারবেন।
  • আংশিক সিম নাম্বারঃ প্রদত্ত তথ্য সঠিক হলে, আপনি প্রত্যেকটি সিমের আংশিক নাম্বার দেখতে পারবেন। নিরাপত্তার কারণে সম্পূর্ণ নাম্বার দেখানো হয় না। উদাহরণস্বরূপ, ০১২৫৯৮৫৪৭৫৮ নাম্বারটি ০১২*****৭৫৮ আকারে দেখানো হবে।

সিমের মালিকানা স্থানান্তর

বাংলাদেশে সিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। তাই কোন জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন করা হয়েছে তা জানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূলত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পরিচয় সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যদি আপনি সিমের মালিকানা স্থানান্তর করতে চান, তাহলে আপনাকে মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। সাধারণত মালিকানা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিমের প্রয়োজন হয়।

শেষ কথা

সিমের মালিকানা এবং বর্তমান ব্যবহারকারী সম্পর্কিত তথ্য জানা অনেক সময় জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। উপরের উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি একটি ধারণা পেতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করা সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি। তাই এই সেবা ব্যবহার করে আপনি নিজের সিমের তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে অপ্রয়োজনীয় বা অকেজো সিম বাতিল করতে হয়। এছাড়া, যদি আপনার NID ব্যবহার করে অন্য কেউ সিম রেজিস্ট্রেশন করে থাকে এবং সেই সিম ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজ করে, তাহলে তার দায়ভার আপনার উপর আসতে পারে। সুতরাং, নিরাপত্তার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় সিম বাতিল করা উচিত।

আপনার যদি আরও কোন প্রশ্ন থাকে বা কোন বিশেষ তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তবে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

একটি আইডি কার্ড দিয়ে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যায়?

BTRC নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি NID দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। যদি এই কোটা পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে অপ্রয়োজনীয় সিমের নিবন্ধন বাতিল করে নতুন সিম নিবন্ধন করা যাবে।

NID অথবা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে সিম নিবন্ধন

NID বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করেও সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম নিবন্ধন করা যাবে।

আমার আইডিতে কতটি সিম নিবন্ধন হয়েছে?

*১৬০০১# ডায়াল করে এবং আইডি কার্ডের শেষ চারটি সংখ্যা দিয়ে চেক করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top